পরাজয়ের হতাশা মুখে নিয়েও চোখে ছিল দৃঢ়তা। ব্যাট হাতে দলের সর্বোচ্চ ৬০ রান, বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ৩২ রানে ১ উইকেট এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেও জয়ের হাসি আসেনি মেহেদী হাসান মিরাজের মুখে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের হার মেনে নিয়েও বাংলাদেশের অধিনায়ক বিশ্বাস রাখছেন, এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে।
আবু ধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১৫ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয়ের সেই সময়টায় দলকে টেনে তোলেন মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের ১০১ রানের পার্টনারশিপে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস মিলেছিল, কিন্তু পরে আর কেউ বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২১ রানে যা আফগানদের জন্য ছিল তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য।
ম্যাচ শেষে প্রেজেন্টেশনে স্পষ্টভাষী মিরাজ বললেন, ‘আমরা প্রথম ১৫ ওভারে অনেক উইকেট হারিয়েছি। উইকেটটা সহজ ছিল না, টার্ন করছিল। তখন তাওহিদ খুব ভালোভাবে সামলে নিয়েছে, ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় কোনো জুটি গড়তে পারিনি—সেখানেই আসল সমস্যা।’
অধিনায়কের চোখে এই হারের কারণ স্পষ্ট রানের ঘাটতি। টসের সময় ২৮০ রানের লক্ষ্য স্থির করলেও বাস্তবে তা অধরাই থেকে যায়। ‘আমরা এই উইকেটের তুলনায় অন্তত ৪০ রান কম করেছি,’ মিরাজ বলেন।
‘যদি ২৬০-এর কাছাকাছি তুলতে পারতাম, তাহলে ফলটা ভিন্ন হতে পারত। কারণ আমাদের বোলিং যথেষ্ট ভালো ছিল।’
তবুও মিরাজের কণ্ঠে হতাশার চেয়ে আশার সুরই বেশি। সিরিজে এখনো দুই ম্যাচ বাকি, এবং অধিনায়ক মনে করেন সেটিই বাংলাদেশের ফিরে আসার সুযোগ। ‘আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। এক ম্যাচ গেছে, দুইটা বাকি আছে। এই ম্যাচে আমরা কিছু ভুল করেছি, কিন্তু এখান থেকেই শেখা যায়। আমি বিশ্বাস করি ছেলেরা পরের ম্যাচে ভালো করবে।’
একই ভেন্যুতে আগামী শনিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে বাংলাদেশকে আর মিরাজ জানেন, এই ম্যাচটাই হতে পারে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু।
